ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ , ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
​নিয়ামতপুরে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল কৃষকের রাণীশংকৈলে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের উদ্যোগে সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা পত্নীতলায় সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন রেলসেতুর নিচ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার নিয়ামতপৃরে বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষতি, শঙ্কায় কৃষক মান্দায় হঠাৎ বৃষ্টিতে আমনসহ সবজির ব্যপক ক্ষতি শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা তানোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে পুকুরে মাছ চুরির নাটক তানোরে কার্তিকের কান্নায় কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ নরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধ, চাচার হাতে দুই ভাই খুন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি আরইউজের প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস মহানগর বিএনপি’র  সভাপতি মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিটন ও  সাংগঠনিক সম্পাদক মিলু চরের ত্রাস কাকনবাহীনি’র বিচার দাবিতে বাঘায় মানববন্ধন জমির ভাগ নিতে বাংলাদেশি এনআইডি বানালেন ভারতীয় নাগরিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার ও নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি

জান্নাত আল্লাহ তাআলার দয়ার দান

  • আপলোড সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ০৪:০৫:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ০৪:০৫:০৩ অপরাহ্ন
জান্নাত আল্লাহ তাআলার দয়ার দান ছবি: সংগৃহীত
 
আল্লাহ রাহমানুর রাহিম; পরম করুণাময়, দয়ার আধার। বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও ইহসানের কোনো সীমা নেই। দুনিয়াতে মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয়, চরম সীমালঙঘন করে, এরপরও আল্লাহ ছাড় দেন, তওবার জন্য সময় দেন। আল্লাহর দয়া না হলে দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই অবাধ্যতার অপরাধে ধ্বংস হয়ে যেতো।
 
বান্দা গুনাহ করলে আল্লাহ অনেক সময় ক্ষমা করে দেন, অনেক সময় দুনিয়া বা আখেরাতের শাস্তির ফয়সালা করেন। গুনাহের শাস্তি হয় গুনাহের সমপরিমাণ। আল্লাহ জুলুম করেন না। আর যদি বান্দা আল্লাহর আনুগত্য করে, নেক কাজ করে, তাহলে আল্লাহ বহুগুণ বেশি সওয়াব দান করেন।
 
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ অণু পরিমাণও জুলুম করেন না। আর যদি সেটি ভাল কাজ হয়, তিনি তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে বিপুল প্রতিদান প্রদান করেন। (সুরা নিসা: ৪০)
 
এ আয়াতে বিপুল পরিমাণ সওয়াবের কথা বলা হয়েছে, সওয়াবর বৃদ্ধির কোনো পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। অন্য দুটি আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায় মুমিনের নেক কাজের সওয়াব কমপক্ষে দশগুণ বাড়ে, আর আল্লাহর ইচ্ছায় তা সাত শত গুণেরও বেশি বাড়তে পারে।
 
আল্লাহ তাআলা বলেন, যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। আর যে অসৎকাজ নিয়ে এসেছে, তাকে অনুরূপই প্রতিদান দেয়া হবে এবং তাদের ওপর জুলুম করা হবে না। (সুরা আনআম: ১৬০)
 
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশত দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সুরা বাকারা: ২৬১)
 
আখেরাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জান্নাত দান করবেন তার দয়া ও অনুগ্রহে। আল্লাহ তাআলা যদি দয়া না করেন, অনুগ্রহ না করেন, শুধু নেক আমলের সমপরিমাণ প্রতিদান দিতে চান, তাহলে কেউ শুধু নিজের নেক আমল দিয়ে জান্নাতের মত বড় পুরস্কার লাভ করার উপযুক্ত হতে পারবে না। নেক আমল আল্লাহ তাআলার অপরিসীম ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভ করার উসিলা মাত্র।
 
আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আপনাদের কারো আমল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। সহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনিও নন? তিনি বললেন, আমিও নই, যদি আল্লাহ তাআলা আমাকে তার অনুগ্রহ ও করুণা দিয়ে আমাকে ঢেকে না নেন। (সহিহ মুসলিম: ৬৮৫৫)
 
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ বান্দা ও রাসুল হয়েও এবং আল্লাহর ইবাদতে দিনরাত নিমগ্ন থাকার পরও আল্লাহ রাসুল (সা.) আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভ করতে আল্লাহ তাআলার অপার অনুগ্রহের ওপর ভরসা করতেন, শুধু নিজের নেক আমলের জোরে জান্নাত পাবেন এই ধারণা করতেন না।
 
তাই আমাদের মতো গুনাহগার ও অধম বান্দাদের তো কোনোভাবেই এই ধারণা থাকা উচিত নয় যে শুধু নেক আমল করে আমরা জান্নাতের উপযুক্ত হতে পারবো। বরং সব সময় আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ চাইতে থাকা উচিত।
 
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তার ক্ষমা ও দয়া চেয়ে এভাবে দোয়া করতে শিখিয়েছেন,
 
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِیۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا رَبَّنَا وَ لَا تَحۡمِلۡ عَلَیۡنَاۤ اِصۡرًا کَمَا حَمَلۡتَهٗ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ وَ اعۡفُ عَنَّا وَ اغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا اَنۡتَ مَوۡلٰىنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ
 
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন নাসীনা আও আখত্বা’না রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইসরাং কামা হামালতাহু আলাল্লাজীনা মিং কাবলিনা রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মালা ত্বাকাতালানা বিহ ওয়া’ফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আংতা মাওলানা ফাংসুরনা আলাল কাওমিল কাফিরিন।
 
অর্থ: হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব! আমাদের এমন ভার দেবেন না যা বহন করার সাধ্য আমাদের নেই। আপনি আমাদের মার্জনা করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের ওপর দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক, কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন। (সুরা বাকারা: ২৮৬)

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার

শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার